চোখ-ধাঁধাঁনো প্রোফাইল যেভাবে তৈরী করবেন



জমকালো সব ইমেজ, টিক-মিষ্টি কথার বুলি আর আকর্ষনীয় কিছু অফারের সমন্বয়ে তৈরী হতে হবে প্রতিটি বাংলাদেশি পিপিএইচারের প্রোফাইল, আমরা প্রমান করবো প্রোফাইলের দিক থেকে আমরা মোটেই 'ক্ষ্যাত' নই বরং বিশ্বমানের কাজ আমরাই প্রতিনিয়ত করে আসছি।

যাহোক এখন আসুন দেখে নি পিপিএইচ স্ট্যান্ডার্ড চোখ-ধাঁধানো প্রোফাইল বানানোর কিছু কৌশল।


প্রথমেই বুঝে নিন, আপনার প্রোফাইল হচ্ছে আপনার CV অর্থাৎ কারিকুলাম ভিটা/ কাজের বায়োডাটা, আপনার সমস্ত কাজের বর্ননা এখানে প্রদর্শিত হবে যা কিনা বায়াররা দেখতে পাবে, আপনাকে এর উপর ভিত্তি করেই কাজের জন্য বাছাই করা হবে।

১. হতে হবে পার্সোনাল ও বন্ধুসুলভঃ 

যত যাই হোক আপনি বন্ধুসুলভ হলে আপনার বায়ারের অভাব হবে না, নাক উঁচা টের পেলে অনেকেই এড়িয়ে যেতে চাইবে, আবার বেশি মিনমিনে হলেও বিপদ, তাই মাঝামাঝি থাকতে হবে, আপনি পার্সন হিসেবে কি, আপনার পরিচয়, আপনার প্যাশন আর কাজের প্রতি তীব্র ভালোবাসার এক কাহিনী রচনা করতে হবে পোর্টফোলিওতে, তবে টুইলাইট সাগা রচনা করে না আবার, বেশি বড় হয়ে যাবে :P

আপনার প্রোফাইলটি হবে আপনার নামে, আপনার কোমপ্লানির নামে নয়, পরিচয় দিবে আপনি কি করতে পারেন, আপনার দল কি করবে তা নয়।

২. ভীড় থেকে বেরিয়ে আসুনঃ

"
অ্যাবাউট ইউ" (About You) এ আপনাকে অনেকের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে দাঁড়াতে হবে আলোর নিচে, এমন কিছু লিখতে হবে যা চোখে পড়বে বায়ারদের।

বর্ননা দিন আপনি কি করতে পারেন একজন পেশাদার বাংলাদেশি ফ্রীল্যান্সার হিসেবে, বলুন পুর্বের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো, কোথায় ছিলো, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর দক্ষতা যা কিনা আপনি অফার করবেন আপনার ক্লায়েন্ট/বায়ারদের।

৩. ফার্স্ট ইম্প্রেশানঃ

প্রথম নজরের দাম অনেক, এর উপর নির্ভরও করে বহুবিধ ভবিষ্যতের কার্যকলাপ ও পরিনতি ঘটে, অবশ্যই স্যাম্পল দিতে হবে, ছবি আকারে বা পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে (এর টিউটোরিয়াল নিয়ে আরেকটি ডক প্রকাশিত হবে), যার উপর অনুমান করে বায়ার আপনাকে নির্ভয়ে হায়ার করে নেবে। :)


SHARE

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত প্রকাশ করুন ।