পর্ব-৭
সার্টিফিকেশনসে
কোনো কিছু না দিলে সমস্যা নেই। এখন দেখবেন, আপনার প্রোফাইল
কমপ্লিটনেস অনেক বেড়ে গেছে। যদি আরও বাড়াতে চান, তাহলে www.odesk.com/tests ঠিকানা থেকে দু-তিনটি টেস্ট দিতে পারেন। তিন-চারটি টেস্ট দিলে
প্রতি সপ্তাহে আপনি ২০টি কাজের (জব) জন্য আবেদন করতে পারবেন। Basic English test, English spelling test, MS
word test, Windows xp test ইত্যাদি টেস্ট
অনেক সহজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন,
না দিলেও সমস্যা নেই। ওপরের
প্রতিটি সেটিংস যতবার খুশি ততবার পরিবর্তন করতে পারবেন।
কাজেই কোনো কিছু ভুল হলে
সমস্যা নেই, তা যেকোনো সময় আবার ঠিক করে নিতে
পারবেন। আগের সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এই সাইটে লগইন করলেই ডান পাশে দেখবেন
আপনার নাম এবং ছবির নিচে Edit Profile লেখা আছে। না থাকলে ওপর থেকে Find Work-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই সবকিছু
আবার পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইলটি অন্যরা, মানে যাঁরা (বায়ার) আপনাকে জব দেবেন, তাঁরা কেমন দেখতে পাবেন সেটি দেখার জন্য Find Work-এ ক্লিক করে নিচে ডান পাশে দেখবেন Your Profile Completeness-এর নিচে লেখা আছে View your public profile। এখানে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন, আপনার পাবলিক প্রোফাইলটি কেমন।
কীভাবে জব
খুঁজবেন: এ সাইটে লগইন করে Find
Work-এ ক্লিক করুন। এখন সার্চ বক্সে
আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিন। আপনি যদি Facebook লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে
ফেসবুক-সম্পর্কিত অনেকগুলো জবের তালিকা আসবে। একটি একটি করে পড়ে যেগুলো পারবেন, সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করুন। আরেকটু কাস্টমাইজ করে সার্চ দিতে চাইলে
সার্চ বাটনের পাশে দেখবেন Advanced লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার পছন্দমতো সার্চ অপশনগুলোতে লিখে এবং
চেক বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সার্চ দিতে পারেন। এভাবে ফেসবুকের বাইরেও, যেমন: Internet, twitter,
php, sql, c#, mysql, wordpress, joomla, google plus, data entry, email, ms
word, blog ইত্যাদি লিখে সার্চ দিতে পারেন।
অর্থাৎ, আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিতে পারেন।
পর্ব ৮
কাজের জন্য যেভাবে আবেদন: ওয়েব বা
পত্রিকায় কোনো চাকরি বা কাজের বিজ্ঞাপন পছন্দ হলে অনেকেই সেখানে জীবনবৃত্তান্ত
(সিভি) পাঠান। কোনো একটা পদে এক বা দুজনকে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে অনেকেই সিভি পাঠান। চাকরিদাতা সেই প্রতিষ্ঠান কিছু
সিভি বাছাই করে তাঁদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। তারপর সেখান থেকে এক বা দুজনকে
নিয়োগ দেয়। তেমনি আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো কাজের ঘোষণা (জব পোস্ট) দেওয়া হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে গ্রাহক বা বায়ার
কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেন। তারপর এক বা দুজনকে কাজটি করতে দেন। এ প্রক্রিয়াকেই
বলে বিডিং বা বিড করা।
সাক্ষাৎকার
নেয় কীভাবে? আপনাকে ওই সাইটেই বার্তা পাঠানো
হবে—আপনি কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কত ডলারের
বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ফিরতি বার্তায় এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন।
তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজটি করতে দেবে। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপ
সফটওয়্যারে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপিতে (www.skype.com) একটা
অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো।
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটি কাজের জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ
কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টি কাজের আবেদন করেও কাজ
পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাজটি করে দেওয়ার জন্য কত কম ডলার চাচ্ছেন
তার ওপর। কোনো একটা কাজ ওই সাইটে প্রকাশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা
যায়, ততই ভালো। আপনি যত বেশি সময়
অনলাইনে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা
বেশি থাকবে। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ওয়েবে
ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য
কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি
সময় অনলাইনে মানে ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রতি মিনিটে দেখবেন
নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে।
পর্ব-৯
কোনো একটা
কাজের (জব) বিজ্ঞপ্তি খুলে এর ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। যেসব বায়ারের Payment Method Verified লেখা আছে, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন। কোনো একটি জবের বিজ্ঞাপন ভালোভাবে
পড়ার পর এর নিচে দেখবেন Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন।
নতুন একটি পেজ
আসবে। এ পৃষ্ঠার ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ
লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে
চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে
চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। ফেসবুক-সম্পর্কিত জব হলে অর্থাৎ জবটি
যদি হয় ফেসবুকের কোনো পেজে লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, তাহলে লিখতে পারেন—
Hi,
I am interested to do
your project. I can provide/collect you more than 000 facebook likes within 0
days. I have more than 0000 facebook friends and also have many facebook
groups, page etc. So I think, I can do your project properly.
Thanks
AR
অর্থাৎ জবের
বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়,
তার উত্তর দিয়ে কভার লেটারটি
লেখার চেষ্টা করুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু লাগবে না। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক
চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক
করুন। (চলবে) —মো. আমিনুর রহমান
পর্ব ১০
কোনো কাজ যদি
নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অর্থাৎ ফিক্সড প্রাইসের হয়, তাহলে ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে কত ডলারের বিনিময়ে কাজটি করতে চান, তা লিখুন। Estimated Duration-এ কাজটি কত দিনের, তা নির্বাচন করে দিন। Cover Letter বক্সে আগের মতো
করে একটি কভার লেটার লিখুন। এখন Agree
to Terms বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। Upfront payment (optional) এবং Attachment লাগবে না। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক
করুন। জবে অ্যাপ্লাই করা হয়ে গেছে। তারপর বায়ার আপনার ইন্টারভিউ (মেসেজ
দেওয়া-নেওয়া) নেওয়ার পর আপনি সিলেক্ট হলে আপনাকে কাজটি করতে দেবে, মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার্ড করা হবে। জবটি সক্রিয় হবে। তখন আপনার
কাছে নোটিফিকেশন আসবে YourÊcontractÊ“Facebook”
started। ওই নোটিফিকেশনে ক্লিক করলে পাশের
ছবিটির মতো দেখতে পাবেন। কীভাবে একটি ভালো কভার লেটার
লিখতে হয়, তা জানতে পারবেনhttp://kb.odesk.com/questions/136/What+is+a+good+cover+letter%3F ঠিকানা থেকে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলেhttp://kb.odesk.com/categories/Contractors/Job+Applications+%28Contractors%29/#upfrontঠিকানায় যেতে পারেন।
পর্ব ১১
কীভাবে কাজ করবেন: ওডেস্কে দুই
ধরনের কাজ আছে। একটা হলো—ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি), আরেকটা হলো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে (ফিক্সড প্রাইস)। ফিক্সড
প্রাইসের কাজগুলো ইচ্ছামতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার
কাজগুলো যাচাই করবেন। এরা আপনাকে পারিশ্রমিকের অর্থ (পেমেন্ট) দেবেন। আর
ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে www.odesk.com/downloads ঠিকানা থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিতে হবে। এটি ইনস্টল
করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে সাইন-ইন করতে হবে। এরপর যে কাজটি করতে চান অর্থাত্
যে জবটি পেতে চান, সেটি নির্বাচন করে Start-এ ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময়
গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে।
প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি করে। সময় গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টে
ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে
আপনি কাজ করেছেন কি না। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি ইচ্ছা করলে ডিলিটে ক্লিক করে
এক-দুইটা স্ক্রিনশট মুছেও দিতে পারবেন।
কাজ শেষ হওয়ার
পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract Facebook। তখন বায়ার আপনার কাজের মূল্যায়ন বা ফিডব্যাক জানাবেন। আপনিও
বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে নম্বর দেবেন এবং
বায়ারও আপনাকে নম্বর দেবে। কেউ কারওটা আগে দেখতে পাবেন না। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক
দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন। সাধারণত ৫-এর নিচে কেউ ফিডব্যাক দেয় না।
আপনি বায়ারের সঙ্গে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে
আপনার সম্পর্ক কেমন এবং তিনি আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক নিয়ে
আপনি যতটুকু টেনশনে থাকবেন, বায়ারও ততটুকু টেনশনে থাকবেন।
কারণ, আপনিও বায়ারকে বাজে ফিডব্যাক
দিতে পারেন। ফিডব্যাক আপনার ও বায়ার উভয়েরই প্রোফাইলে যুক্ত থাকবে—যা সবাই দেখতে পাবে। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে
সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের
পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে
ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে
আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর
সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা
হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য ওপরে ডধষষবঃ-এ ক্লিক করে Transaction History-এ ক্লিক করুন।
শেষ পর্ব
কীভাবে টাকা তুলবেন: ওডেস্কে কাজ
করেছেন, আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ডলার
জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে নিজের কাছে আনবেন কীভাবে? এর জন্য প্রথমে ওপরের Wallet-এ ক্লিক করে
তারপর Payment Methods-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা খুললে
দেখবেন অনেকগুলো লেনদেনের পদ্ধতি আছে। এসবের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে
পারেন। এর একটি পদ্ধতি হলো, পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড।
পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের ডান পাশে Sign Up Now-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেইজ এলে সবার নিচে Get your prepaid
MasterCard card now বাটনে ক্লিক
করুন। এরপর Order Card-এর নিচে তিনটি বাটনের প্রথমটি Start Here-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে সেটি পূরণ করে বাকি দুটি বাটনে ক্লিক
করে সেগুলোও পূরণ করে Finish-এ ক্লিক করুন। এখন এক মাসের মধ্যে
আপনার বাসার ঠিকানায় (ফরম পূরণের সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে
একটি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড আসবে। এর জন্য কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না। তবে আপনি
যখন ওডেস্ক থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রথমবার এই মাস্টার কার্ডে ডলার লোড
করবেন তখন শুরুতে ১০-১৫ ডলার এই কার্ডের সার্ভিস চার্জ বাবদ কেটে নেবে। প্রতি মাসে
তিন ডলার করে আপনার মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেবে। কাজেই প্রথমবার
ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে ১৫ ডলারের মতো খরচ হবে।
ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থ (ডলার) উত্তোলন
করতে প্রথমে ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Withdraw-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে Withdrawal Method থেকে কোনো মেথড
সিলেক্ট করে Amount থেকে কত ডলার তুলতে চান, তার পরিমাণ লিখে Withdraw
বাটনে ক্লিক করুন। দুই দিন পর
আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার চলে আসবে। প্রতিবার ওডেস্ক থেকে ডলার ট্রান্সফার করতে দুই
ডলার খরচ হয়। মাস্টার কার্ডের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে
বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব এটিএম বুথ থেকে ডলার তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো
এটিএম বুথ থেকে তুললে ডলার অটো টাকায় কনভার্ট হয়ে সমপরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসবে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন ।