Xiaomi এখন বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক

 
আইডিসি’র নতুন গবেষণা লব্ধ তথ্য থেকে জানা গেছে যে, শীওমী(Xiaomi) বর্তমানে পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক। তাদের উচ্চ প্রযুক্তির মি৪ এর বিশাল সাফল্য কোম্পানিটিকে এ সম্মান এনে দিয়েছে। উল্লেখ্য, শীওমী ব্র্যান্ডেড পণ্য বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া না গেলেও একাধিক স্থানীয় নির্মাতা নিজেদের নামে বাজারজাত করেছে এই জনপ্রিয় চায়নীজ কোম্পানির পণ্য।



বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক এখন Xiaomi
শীওমী এই প্রথমবারের মতো শীর্ষ পাঁচ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকের তালিকায় নিজের নাম তুলতে পেরেছে। এ তালিকায় সবাইকে পিছনে ফেলে শীর্ষে আছে স্যামসাং। দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাপেল, তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে শীওমী। আর আইডিসি’র বিচারে যৌথভাবে চতুর্থস্থানে আছে লিনোভো ও এলজি।

শীওমী ২০১৪ এর ৩য় প্রান্তিকে সর্বমোট ৩২৭.৬ মিলিয়ন ফোন বাজারজাত করেছে যা এক বছর আগের সংখ্যার তুলনায় শতকরা ২৫.২ ভাগ বেশি। ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলী মোবাইল ফোন ট্র্যাকার আইডিসি’র কর্মসূচী পরিচালক রায়ান রীদ বলেছেন, ‘বাজার সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এমন গুজব থাকলেও স্মার্টফোন বাজারজাত করার সংখ্যাটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আমরা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছি যেখানে উন্নত বাজারগুলির প্রবৃদ্ধি এক অঙ্কের ঘরে হচ্ছে আর উঠতি বাজারগুলি সম্মিলিত ভাবে শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

আইডিসি’র মতে স্যামসাং প্রথম পাঁচে থাকা একমাত্র কোম্পানি যাদের বাজারজাত করা ফোনের সংখ্যা বছর বছর কমছে, কিন্তু তাদের উচ্চ-প্রযুক্তির ফোনগুলির চাহিদা এখনো একইরকম আছে। আইফোন ৫ ও আইফোন ৬ প্লাসের বিপুল বিক্রি সংখ্যাই অ্যাপেলকে সামনে এগিয়ে এনেছে। এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির নতুন মডেলের ফোন বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন আর তাদের আইফোন ৫এস ও ৫সি’র বিক্রিও ছিল প্রচুর।

লিনোভো এ৩৬৯আই এবং এ৩১৬ মডেলের ফোনগুলির বাজার চাহিদার কারণ ছিল এগুলির স্বল্পমূল্য- যা ১০০ ডলারেরও কম। এগুলির মূল বাজার ছিল এশিয়া আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য। এ বছরের ৩য় প্রান্তিকে চীনের বাইরে প্রতিষ্ঠানটির ফোন বিক্রির হার বেড়েছে গতবারের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ।
SHARE

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত প্রকাশ করুন ।